লালমনিরহাটে বিটুবি দেওয়ার কথা বলে চার ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে মীর এরশাদুল হক নামে নগদে কর্মরত একজন ডি.এস.ও। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা নগদ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে ম্যানেজারে সাথে কথা বলতে আসে। এ সময় অফিসে গোলযোগ বাধার সম্ভাবনা দেখা দিলে পুলিশ নগদ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে গিয়ে উভয়ের মাঝে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ সময় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম,আফজাল হোসেনসহ উপস্থিত ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ব্যবসায়ী মানুষ। দোকান থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে আমাদের সংসার কিন্তুু টাকাগুলো এভাবে ডিএসও আটক করায় দোকান বন্ধ রয়েছে। আয় না থাকায় খুব কষ্টে আছি আমরা।
অভিযোগে উল্লেখ করে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বলেন, মীর এরশাদুল হক নগদের ডিএসও হিসেবে কাজ করে। আমরাও নিয়মিতভাবে তার সাথে লেনদেন করে থাকি। বরাবরের মত ৭ নভেম্বর ডিএসও মার্কেটিং এর কাজে আসে এবং বিটুবি দিবে বলে টাকা নেয়।তাৎক্ষণিক টাকা বিটুবি করে না দিয়ে পরে দিবে বলে জানায়। কিন্তু পরে না দিলে আমরা অফিসে যোগাযোগ করি। পরের দিনও টাকা না পাওয়ায় শাখা ম্যানেজার মতিউর রহমানের সাথে কথা বলি। তিনি বলেন ডিএসও এর মা অসুস্থ। অফিসে আসলে আপনাদের টাকা দেয়া হবে কিন্তু কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও আমরা টাকা পাইনি। এদিকে ডিএসও এরশাদুলের নাম্বার বন্ধ রয়েছে । হতাশাগ্রস্থ এসব ব্যবসায়ী তাদের টাকা ফেরত পাবার আশায় নগদ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে ঘুরেও কোনো সুফল পাচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে নগদের জেলা ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার মোঃ এরশাদুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান,ডিএসও এরশাদুল ওই দিন সকালে মার্কেটিংএ গিয়ে আর ফেরেনি।দুপুরে ফোন দিলে এরশাদুল বলে তার মা অসুস্থ কিন্তু সন্ধ্যায়ও সে অফিসে না এসে হিসাব আমাদের গ্রুপে দিয়েছে। পরের দিন থেকেই তার ব্যবহৃত সকল নাম্বার বন্ধ। আমরাও এরশাদুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
One thought on "এবার নগদ ব্যাংকিং এর দিয়েছো এক ব্যবসায়ীর ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও"